জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অর্ডিন্যান্সকে আইন আকারে কার্যকর করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক সংলাপ। আগামী জাতীয় সংসদে এই অর্ডিন্যান্স বিল আকারে পাস হবে কি না—তা নির্ভর করবে সরকার গঠনকারী রাজনৈতিক দলের অবস্থানের ওপর। জুলাই ঘোষণা সনদের বাস্তবায়নে গণভোটে জনগণ সমর্থন দিলে পরবর্তী সরকার বাধ্য থাকবে মানবাধিকার কমিশন অর্ডিন্যান্সকে আইনে রূপ দিতে।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউ–তে এ সংলাপের আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংলাপে অংশ নেন বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। তারা অর্ডিন্যান্সের বিভিন্ন ধারা, প্রয়োগ–সংক্রান্ত সমস্যা, কাঠামোগত দুর্বলতা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে মতামত, প্রশ্ন ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
এছাড়া নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা মানবাধিকার কমিশনের ক্ষমতা, কার্যকারিতা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সংলাপে এনএইচআরসি অর্ডিন্যান্স বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। সেশনটি পরিচালনা করেন ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্যারিস্টার তারিম হুসাইন শাওন।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন,ইউএনডিপি অ্যাডভাইজর রোমানা শোয়াইগার।