বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন পুসাব (প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এলায়েন্স অব বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জোনের উদ্যোগে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো উদযাপন করা হলো “প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রেসিস্টেন্স ডে”। দিনটি ২৪ তারিখের গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দিনটি উদযাপন করেছে পুসাব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২৪ তারিখের শহীদ ১২ জন ছাত্রের পরিবারবর্গ। যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক।এতে সভাপতিত্ব করেন পুসাব চট্টগ্রাম জোনের ফ্যাসিলেটর, মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী। এতে উপস্থাপন করেন পুসাবের কেন্দ্রীয় সদস্য তানজিদ রহমান৷
উল্লেখযোগ্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ পরিবারের সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক। এতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নজরুল কাদির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর আব্দুলাহ মোহাম্মদ এহসানুল মামুন, কেন্দ্রীয় জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, জামায়াত নেতা ডাঃ ফজলুল হক।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার, ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা জুবায়েরুল হাসান আরিফিন, আশরাফ মাহাদি, জুবায়েরুল আলম মানিক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি সাইফুর রুদ্রও উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তারা বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বরাবরই আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসিক ভূমিকা রেখেছে। গণঅভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রীয় জুলুমের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান আজ স্বীকৃত। অনুষ্ঠানটি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, বর্তমান ছাত্রদের উদ্বুদ্ধকরণ ও ঐক্য গঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।