চট্টগ্রামের আমীন কলোনী শাহী জামে মসজিদে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও পরে বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে
শুক্রবার নগরের আমিন কলোনী শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় শুরু হওয়া ঘটনা চলে বিকাল তিনটা পর্যন্ত। বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে খতিব মাওলানা জোবায়ের খুতবা শেষ করে পূর্ববর্তী জুমার নামাজের একটি বিষয় নিয়ে সবার কাছে দু:খ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমার শব্দ চয়নে কেউ দু:খ পেয়ে থাকরে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তার এই বক্তব্যের পর মসজিদে থাকা একটি পক্ষ কারা খতিবকে দু:খপ্রকাশ করতে বাধ্য করেছেন উল্লেখ করে হট্টগোল শুরু করেন। পরে একপর্যায়ে মসজিদে নামাজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আমিন জুট মিলের জিএমসহ অন্যান্যরা উত্তেজিত পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশ আসলে পুলিশের পাহারায় নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু জুমার পরে আবারও দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুরো এ সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে পাঁচজন আহত হয়। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর মানিক জানান, গত শুক্রবার জুমার নামাজে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে বক্তব্য দেন। বাউল আবুল সরকারের ঘটনায় তিনি বিএনপির মহাসচিবকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন। এমনকি বলেন, প্রয়োজনে আমিন কলোনী জামে মসজিদ থেকে আন্দোলন শুরু করা হবে। এটা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়। পরে আমিন জুটি মিলের জিএমও জানিয়েছেন সরকারি মসজিদে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি এটা উচিত নয়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) খতিব জোবায়ের সাহেব বাংলার খুতবা শেষে সুন্নাত নামাজের পর আরবি খুৎবা শুরুর আগে বিষয়টি নিয়ে দু:খ প্রকাশ করলে এক পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় দুটি পক্ষে হট্টগোল বাধে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নামাজ শেষ হয়। জুমার নামাজের পরে আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে একজনকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আমীন কলোনী শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জোবায়ের কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আমীন জুট মিলের জেনারেল ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করে বলেন, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মসজিদে হট্টগোল হয়েছে। গত শুক্রবারের একটি বিষয়ে তিনি দু:খ প্রকাশ করলে অন্য পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কারো হুজুরের বক্তব্য পছন্দ হয়নি, আর কেউ দু:খপ্রকাশের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমি এর বেশি বলতে চাইনা।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।