চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবিতে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) বন্দর অভিমুখে লাল পতাকা গণমিছিল করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনে শ্রমিকেরা অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান।
এতে প্রধান বক্তা শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, স্কপ ধারাবাহিকভাবে স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ, গণ–অনশন, অবরোধ ও মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে এবং এতে জনগণের সমর্থন ধীরে ধীরে বাড়ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগমুহূর্তে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ন্যূনতম অধিকার নেই। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড এবং কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক বা আইনগত ভিত্তি নেই। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইজারা দিলে তা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এসকে খোদা তোতন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সভাপতি খোরশেদুল আলম, বিএফটিইউসি চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক রিজওয়ানুর রহমান খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা হেলাল উদ্দিন কবির, বিএলএফ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উদ্দিন শাহিন, ডক শ্রমিক দলের সভাপতি মো. হারুন, সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম ও বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন, আব্দুল বাতেন, শফিকুর রহমান মজুমদার, আব্দুর রউফ লিটন প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির অজুহাত তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বন্দর ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বন্দরে দৈনিক আড়াই কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য হয় এমন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত দেড় বছর আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন।