শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত প্রয়াত সাংবাদিক মো. মাহবুব উল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমেদ আসগারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন আহমদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি বলেন:
“সাংবাদিকের দায়িত্ব হলো সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলা — আজকাল সেই চর্চা অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। লেখনির মধ্য দিয়ে যদি সত্যকে ধারণ করা না যায়, তাহলে সাংবাদিকতা হয়ে দাঁড়ায় অর্থহীন।”
তিনি আরও স্মরণ করেন যে, অতীতে কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসাধনের জন্য প্রেস ক্লাবকে সংকীর্ণ করে রেখেছিল — যা কোনো সভ্য সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। গত বছরগুলোতে তিনি এমন সময় দেখেছেন, যখন সাংবাদিকদের মতো শ্রেণি উপহাসের লক্ষ্য হয়।
ওসমান গণি মনসুর স্মৃতিচারণ করে জানান, ষাটের দশকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব উদ্বোধন করেছিলেন ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খান। পরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও এখানে আসার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, যদিও শেষপর্যন্ত তার আগমন হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, একবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আসেন, তখন তিনি ছবি তুলার জন্য অনুমতি চাইলে জিয়াউর রহমান বলে দিয়েছিলেন — “খাওয়ার ছবি নয়, কাজের ছবি তোলো।” এই কথাটি তাঁর সারাজীবন অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।
স্মরণসভায় বক্তারা প্রযোজ্য এই তিন সাংবাদিককে বিশেষ শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। বলা হয়, তারা শুধু সংবাদকর্মী ছিলেন না — তারা ছিলেন জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান এবং সত্যনিষ্ঠতা অনুবর্তী। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি বই লিখে পশ্চিম রেখে গিয়েছিলেন আসগারী — তার মৃত্যুর পর প্রকাশের জন্য মানবেছিলেন। বক্তারা তাঁদের পরিবার ও বন্ধুদের অনুরোধ জানান, বইটি প্রকাশে প্রেস ক্লাব সহযোগিতা করবে।
সভা পরিচালনা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সদস্য সচিব জাহিদুল করিম “কচি” ও সঞ্চালক গোলাম মওলা মুরাদ। স্মরণসভায় বক্তব্য রেখেন মুস্তফা নঈম, মাঈনুদ্দিন, কাদেরী শওকত, শহিদুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ রিটন, মাহবুবুল মওলা রিপন, ফারুক মুনির, হাসান মুকুল, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ আজাদ, কামরুল হুদা ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।