চট্টগ্রাম বুলেটিন

আজ চাকসু নির্বাচন/ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ভোটগ্রহণ

নির্বাচন কমিশন বলছে ভিন্ন কথা,

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (চাকসু)। এতোদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন প্রার্থীরা। ইশতেহার তুলে ধরে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি৷ তবে ভোটের আমেজেও কাটেনি নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০টি সিসি টিভি ক্যামেরার বেশিরভাগই অসচল৷ এতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নজরদারি নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা৷ তারা বলছেন, ভোট গ্রহণের আগেই সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। অন্যথায় যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে বেকায়দায় পড়তে পারে প্রশাসন৷

সরেজমিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঝুপড়ি এলাকা, বিবিএ, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সায়েন্স অনুষদ ও জিরো পয়েন্ট, রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি কিংবা কোন ভবনে তেমন কোন সিসি টিভি ক্যামেরা নেই৷ দুয়েকটিতে থাকলেও পুরোনো জরাজীর্ণ, ধুলোবালিতে আচ্ছাদিত। এসব ক্যামেরা দীর্ঘ দিন বৃষ্টিতে ভিজে অচল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে কয়েক বছর আগে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বসানো এই ১৩০টি সিটি টিভি ক্যামেরা বসানো হলেও অচল হওয়ার পর পুনরায় মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি চবি প্রশাসন ।

শিক্ষার্থী ও চাকসু’র প্রার্থীরা বলছেন, অতিতে চাকসু নির্বাচনে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ২ হাজার ৩০০ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কোন বেষ্টনী নেই। এছাড়াও সচল সিসি টিভি না থাকায় নজরদারি ভেঙে পড়েছে। এতে যেকোন সময় বহিরাগতরা প্রবেশ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনও প্রবেশ পথ রয়েছে যেখানে প্রশাসনের নজরদারি নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া জোবরা গ্রামবাসী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ভালোভাবে চিহ্নিত করা যায়নি৷ এর আগে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিবির প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনি। তাছাড়া গতকাল রাতেও বহিরাগত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ জানায় শিবির প্যানেল৷

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর মনির উদ্দিন জানান, সকল প্রস্তুুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে৷ চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়েছে, তারা যেকোন মুহুর্তে প্রস্তুুত আছে। আগের ১৩০টিসহ দেড়শোটি নতুন সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাসে।

Tags :

সর্বশেষ